কুয়াকাটা ভ্রমণের বিচিত্র অভিজ্ঞতা

কুয়াকাটা ভ্রমণের বিচিত্র অভিজ্ঞতা…

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে  বরিশাল জেলার পটুয়াখালিতে অবস্থিত কুয়াকাটা  সমুদ্র সৈকত, যেখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের উভয়  দৃশ্য পরিপূর্ণ ভাবে  উপভোগ করা যায়। এজন্য  কুয়াকাটাকে   “সাগরকন্যা” নামে বিখ্যাত । বঙ্গোপসাগরের তীরে এই  ১৮ কিমি দীর্ঘ সৈকতটি পর্যটকদের জন্য এক আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

*কীভাবে যাবেন কুয়াকাটা?

কুয়াকাটা যাওয়ার জন্য প্রধানত দুইটি জনপ্রিয় উপায় রয়েছে, সড়কনৌপথ।

*সড়কপথ:ঢাকার গাবতলী বা সায়েদাবাদ থেকে সরাসরি কুয়াকাটাগামী নন-এসি ও এসি বাস পাওয়া যায়।

  • ঢাকা থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার, যা বাসে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা সময় লাগে।
  • জনপ্রিয় বাস সার্ভিস: সৌদিয়া, সুরভি, এম ভি, গ্রিন লাইন ইত্যাদি।

*নৌপথ:

  • ঢাকা থেকে বরিশাল বা পটুয়াখালী হয়ে লঞ্চে যাওয়া যায়। এরপর সেখান থেকে বাস বা মাইক্রোবাসে করে কুয়াকাটা পৌঁছানো যায়।
  • লঞ্চ সার্ভিসগুলো সাধারণত সন্ধ্যায় ছাড়ে এবং সকাল নাগাদ গন্তব্যে পৌঁছে যায়।

*কুয়াকাটায় দেখার মতো আকর্ষণীয় স্থান…

১. কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত:

  • প্রধান আকর্ষণ, যেখানে একসাথে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়।
  • সৈকতের বালুকাবেলা প্রশস্ত ও তুলনামূলক কম জনবহুল, যা পর্যটকদের জন্য আরামদায়ক।

২. ফাতরার চর:

  • কুয়াকাটা থেকে ট্রলার বা স্পিডবোটে যেতে হয়।
  • এ জায়গাটি মূলত একটি ম্যানগ্রোভ বন, যা সুন্দরবনের মতো ছোট আকৃতির।
  • এখানে বন্য প্রাণী, লাল কাঁকড়া ও বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ দেখা যায়।

৩. গঙ্গামতির চর:

  • ভোরের সময় সূর্যোদয় দেখার জন্য অসাধারণ একটি স্থান।
  • ছোট ছোট গাছপালায় ঘেরা এলাকা, যেখানে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটানো যায়।

৪. লাল কাঁকড়ার দ্বীপ:

  • সৈকতের পাশে থাকা এই চর লাল কাঁকড়ায় পূর্ণ।
  • বালুকাবেলার ওপর হাজার হাজার লাল কাঁকড়ার দৌড়ঝাঁপ চোখে পড়ার মতো।

৫. কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির ও রাখাইন পল্লী:

  • কুয়াকাটা নামকরণ যে কুয়া থেকে সেটি এখানে দেখা যায়।
  • মন্দিরে একটি প্রাচীন বুদ্ধ মূর্তি আছে, যা শত বছরের পুরোনো।

*কুয়াকাটায় খাবার ও আবাসন

কুয়াকাটায় থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। কিছু জনপ্রিয় আবাসন:

  • সাগর কন্যা রিসোর্ট
  • নিউ পার্ক হোটেল
  • সৈকত গার্ডেন হোটেল
  • সিলভার ক্রাউন

*খাবারের জন্য কুয়াকাটার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, লবস্টার, কাঁকড়া, দেশি-বিদেশি খাবার পাওয়া যায়।

*এছাড়া সন্ধ্যা বেলা সৈকতের পাশে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ,কাকড়া,স্কুইড, চিংড়ি ইত্যাদি  কেনাবেচা হয়। তবে  দামাদামি করে তাজা মাছ বেছে কিনবেন।

 

কুয়াকাটা শুধু একটি সমুদ্র সৈকত নয়, এটি প্রকৃতির এক অপূর্ব  দান। এখানে গেলে মন শান্ত হয়, আর ব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি দূর হয়। তাই যদি  সমুদ্র  আপনার প্রথম পছন্দ হয়,  কুয়াকাটা হতে পারে আপনার পরবর্তী ভ্রমণ গন্তব্য!

#কুয়াকাটা

#কুয়াকাটা ভ্রমণ

#সমুদ্রকণ্যা কুয়াকাটা

#কুয়াকাটাই ভ্রমণ

#কুয়াকাটা ভ্রমণের কারণ

Share this content: